কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ স্বাক্ষীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই হত্যাকান্ডে ‘জড়িত সন্দেহে’ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) ওই ৩ স্বাক্ষীকে আটক করেছিল টেকনাফের বাহারছড়া এলাকা থেকে।
র্যাব ওই তিনজনকে মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট) বিকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির করে। পরে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন করে র্যাব।
আদালত র্যাবের আর্জি শুনে ৩ আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে রিমান্ডের আবেদন শুনানির জন্য আগামিকাল (১২ আগষ্ট) দিন নির্ধারণ করেন।
মেজর (অবঃ) সিনহা হত্যা মামলায় সন্দেহজনকভাবে ধৃত ৩ আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ৩জন আসামীকে ১১ আগস্ট বুধবার বিকেলে কক্সবাজার আদালতে আনা হয়। সরকারি ছুটিকালীন দায়িত্বে থাকা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারে পুলিশের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সুত্র জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভোর রাতে টেকনাফ থানায় করা পুলিশের ওই মামলার ৩ স্বাক্ষীকে আটক করে র্যাব।
কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
সুত্র মতে, ধৃত মোহাম্মদ আয়াছ, নেজাম উদ্দিন ও নুরুল আমিন মেজর অব. সিনহা মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় স্বাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে। তবে মেজ সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে করা মামলায় এরা কেউ আসামি হিসেবে নেই।