রোববার দুপুরে উপজেলার বাঁশভাগ গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম কাজীর ছেলে মো. ইউনুছ কাজী নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলমের আদালতে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে বিচারক নলডাঙ্গা থানার ওসিকে তদন্ত করে ২ ডিসেম্বরে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলায় আসাদসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসাদ নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজীপুর গ্রামের মো. আনিছার শাহের ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আদিল খান বলেন, ইউনুছের ছোট ভাই কাজী সুমনের নারায়ণগঞ্জের একটি মামলার তদবিরের জন্য দুই লাখ টাকা দাবি করেন আসাদ। এক লাখ টাকা পরিশোধ করার কিছুদিন পর খরচ বাবদ আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। না পেয়ে ২৪ অক্টোবর দুপুরে ইউনুছ নলডাঙ্গা বাজারে গেলে আসাদ তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে তুলে নেন। এ সময় টাকা টাকা না পেয়ে তাকে মারধর করা হয়।
আদিল আরো বলেন, এ ঘটনার পর থেকে দাবি করা এক লাখ টাকার জন্য ইউনুসকে চাপ সৃষ্টি করেন আসাদ। অন্যথায় তাকে ও তার ভাইকে হত্যা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এটি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইউনুসের কাছে ২৯ হাজার টাকা পাই। তার কাছে ওই টাকা চাইলে হুমকি দেন। পরে থানায় বসে এক সালিশি বৈঠকে ২৯ হাজার টাকার চেক দেন ইউনুছ। কিন্তু ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখেন তার একাউন্টে কোনো টাকা নেই। সঠিক তদন্ত হলে সব কিছু বের হয়ে আসবে।