তীব্র শীতের প্রকোপে জরা-জীর্ণ কাপড়ে মোড়ানো অসহায় বৃদ্ধাটি অবস্থান করছেন ঘরের কোণে। ভুগছেন বিভিন্ন রোগ-শোকে, হঠাৎ তার জন্য জামা কাপড় নিয়ে হাজির এক আগন্তুক।
শুধু জামা কাপড়ই না। এরপর অ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান শেষে ওষুধ কিনে দেন৷ সেই সাথে খাবার জন্য ৫০ কেজি চাল কিনে বাড়ি পৌঁছে দেন।
প্রচণ্ড শীতে গরম জামা কাপড় ও বস্ত্রের অভাবে ভুগছিলেন একটি এতিমখানার অসহায় ছাত্র ছাত্রীরা। তাদের জন্য নিয়ে গেলেন কম্বল ও ক্রীড়া সামগ্রী। এগুলো পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এতিমখানার অসহায় শিশুরা!
টাকার জন্য চোখের চিকিৎসা হচ্ছিল না হোসেনপুরের এক কিশোরের। দুনিয়ার আলো দেখাতে নিজের পকেট থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে ঐ কিশোরের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। করোনাকালে অফিস, সাধারণ মানুষদের কাজ কর্ম সবই বন্ধ ছিলো। অনেকেই অসহায় জীবন যাপন করছিলো। ফোন দিলেই গোপনে রাতের আধাঁরে চাল, ডাল, তেল, আলু নিয়ে হাজির হতেন তিনি।
বলছি হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের কথা। ‘পুলিশ’ শব্দটাকে মানুষ ভয়ের চোখে দেখলেও তাকে দেখলে যেন মনে হয় তিনি অসহায় মানুষদের বিপদের বন্ধু। নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়েই প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষদের সেবা করে যাচ্ছেন তিনি।
আলাপচারিতায় তিনি বলেন, অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি। যত দিন বেঁচে থাকি ততদিনই মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
একই সাথে সমাজের সকলকে তিনি অসহায় বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন।