উখিয়ায় বনবিভাগকে মাসোহারা দিয়ে চলছে ৪৯ টি অবৈধ স,মিল ! এতে চিরাই হচ্ছে শত শত একর সামাজিক বনায়নের টন টন গাছ। এর শুধু সদরের মধ্যে রাজাপালংয়ের মাছকারিয়া ও ফলিয়া পাড়া এলাকায় ৬ টি অবৈধ স মিল রয়েছে।
কয়েকজন গ্রামবাসীর ভাষ্য মতে ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান হয়নি। বনবিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় স্থাপিত স মিলে চোরাই গাছ চিরাই ও পাচারের ডিপুতে পরিণত হয়েছে এগুলো।এসব চিরাইকরা কাঠ ডাম্পার ও জীপ যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরবরাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে সমিল উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নে ১৫ টি, রত্না পালং ইউনিয়ন ৭ টি, জালিয়া পালং ইউনিয়নে ৬ টি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নে ৫ টি ও পালংখালী ইউনিয়নের ১৬ টির মত সমিল বসানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ সব স মিলের বৈধ কাগজপত্র কিংবা কোন প্রকার লাইসেন্স নেই। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে এসব সমিল বসানো হয়েছে এবং চলে আসছে।
তবে জানা গেছে, উখিয়া বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট এলাকার বিট অফিসার ও বনকর্মী প্রতিটি সমিল থেকে মাসিক মাসোহারা আদায় করে থাকে।
এদিকে সামাজিক বনায়ন রক্ষায় স্থানীয় নাগরিক সমাজ অবৈধ সমিল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করার জন্য বারবার উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার নিকট শরণাপন্ন হলেও তিনি কোন উদ্যোগ বা পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বন বিভাগের কর্মচারীদের সাথে মাসিক চুক্তি থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে কোট বাজারে অভিযান চালিয়ে দুটি স,মিল উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান , স মিল উচ্ছেদের বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।