ডেস্ক রিপোর্ট ::
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মোমবাতি হাতে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিলটি বুয়েট শহীদ মিনার থেকে শুরু করে সবগুলো আবাসিক হল প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল থেকে আন্দোলনকারীরা জানান, আবরার হত্যার চার্জশিট গঠন করা না পর্যন্ত ক্যাম্পাসের সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং তাদের আন্দোলন চলবে।
এর আগে, ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীদের সামনে এসে তিনি বলেন, তোমরা যা দাবি দিয়েছ তোমাদের দাবির সঙ্গে অ্যাগ্রি করছি। আমরা নীতিগতভাবে সব দাবি মেনে নিচ্ছি।
এসময় শিক্ষার্থীরা উপার্চকে দাবিগুলো পড়ে শুনিয়ে ঠিক কোন দাবিগুলো মানা হলো তা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে চলে যেতে চান।
এত পরে কেন এলেন জানতে চাইলে ভিসি বলেন, আমি সারাদিন মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, মিটিং করেছি। এগুলো না করলে দাবিগুলোর সমাধান হবে কীভাবে। সব তো আমার হাতে নেই।
এদিকে, আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো−শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও মো. আকাশ হোসেন (২১)। এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।