উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে চলছে মাটি কেটে তা ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। প্রতিনিয়ত ড্রেজার দিয়ে প্রতিনিয়ত কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছে ও পাহাড় কেটে ইট ভাটায় ব্যবহার করছে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী চক্র।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা নিরুপায় হয়ে তারা এখন ড্রেজার ব্যবসায়ী চক্রের কাছে জিম্মি এমনটি অভিযোগ উঠেছে।
এরমধ্যে উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং, হলদিয়া পালং,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে অনেকেই পরিবেশ আইন না মেনে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে পাহাড় কাটা। ইটভাটাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য পাহাড় কাটছে।
পাহাড়ের মাটি কেটে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়খেকোরা। ঘুমধুমে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। বিনা বাধায় পাহাড় খেকোরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডেজার মেসিন দিয়ে নির্বিচারে কাটছে পাহাড় ঘুমধুমের আজুখাইয়া এলাকায় অবস্থিত আবুল কালাম মেম্বার সিন্ডিকেট পক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে ড্রেজার মেসিন দিয়ে এখানে মাটি কাটা হয়। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। তবে কয়েকজন জানান পাহাড় কাটা ক্ষতি। কিন্তু আমরা কিছু বলবে এলাকায় থাকতে পারব না। স্থানীয়রা আরো জানান, একটি সেন্ডিকেট এসকেবেটর দিয়ে অবাধে পাহাড় কেটে তা ডাম্পার করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। রাত ১১টার পর পাহাড় কাটা শুরু করে ভোরে আগেই শেষ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক বলেন, আবুল কালাম মেম্বারসহ এক শক্তিসালী চক্র আজুখাইয়া এলাকায় তার নিজ ইটভাটার জন্য ও বাহিরে বিক্রয় করতে এই এলাকায় রাতের আধারে পাহাড় কেটে রাসেল ও টিপু বড়ুয়ারসহ এদের মোট ১০/১৫ জনের মালিকানাধীন অবৈধ ডাম্পার দিয়ে এসব মাটি পাচার করা হয় বলে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে, তিনি লামা বিভাগীয় কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন, লামা বিভাগীয় কর্মকর্তা এম এস কাইসার আহমদের সাথে মোটোফোনে ঘুমধুম পাহাড় কাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ডিসির সাথে কথা বলতে বলেন।
উল্লেখ্য,কয়েকদিন আগে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে প্রতিবাদ করলে আবুল কালাম মেম্বারের ইট ভাটার ম্যানেজার রশিদ ডিসি, এসপি,পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগকে মাসোহারা দিয়ে পাহাড় কাটছি বলে বেড়ায় এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে।