ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। বৃহস্পতিবার রাত থেকে কক্সবাজারারের উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার কারণে আতংক বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে সাগরে মাছ ধরারত সকল ট্রলার উপকূলে নিরাপদে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শুক্রবার বিকার ৩ টায় দূর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উখিয়া উপজে’লা পরিষদ মিলনায়তনে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজে’লা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী। সভায় উপজে’লার সকল আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ সিপিপি টিম লিডারগণ কে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সতর্ক রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
ও ঝুঁকিপূর্ণ স্হানে বসবাস কারিদের নিরাপদ স্হানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতিমুখ এখন সুন্দরবনের দিকে। সোয়াশ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঝড়টি।শনিবার বিকালের পর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের প্রভাব অনুভূত হতে পারে। আর খুলনা অঞ্চল দিয়ে মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বুলবুল।
শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ির বৃষ্টিও হচ্ছে।
শুক্রবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল বুলবুল।
উল্লেখ্য,
মংলা,পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭নং এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর কে ৬নং ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর কে ৪নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।