সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ব্যবসায়ী রাজন আহমেদের স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা গুলশানারা পারভীন পান্নাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন উল্লাপাড়ার পৌর মেয়র আ.লীগ নেতা এস. এম নজরুল ইসলাম। সম্প্রতি তাদের হানিমুনের বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এ বিতর্কিত ঘটনায় উল্লাপাড়া পৌর এলাকার সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
রাজন আহমেদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম কয়েক বছর আগে পৌর এলাকার ঝিড়িকা বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। সেই অনুষ্ঠানেই এক সন্তানের জননী সহকারী শিক্ষিকা গুলশানারা পারভীন পান্নার প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে মেয়রের। এরপর থেকেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখায় পান্নাকে। এক পর্যায়ে কোনোভাবেই যখন গুলশান পারভীন রাজি হয়নি তখন ক্ষমতার দাপট ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রভাব দেখিয়ে উল্লাপাড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজন আহমেদের স্ত্রী পান্নাকে জোড়পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন এবং এ বিষয়ে কোনো মামলা করলে রাজন ও তার সন্তানকে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
মেয়র ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে গুলশানারা পারভীনের স্বামী রাজন স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে কোনো মামলা ও শালিসও ডাকেননি। ১৬ বছর বয়সী সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে রাজন কোনো ঝামেলায় নিজেকে জড়াননি। এরপর থেকেই রাজনকে সবসময় চাপের মুখে রেখেছেন মেয়রের সন্ত্রাসী বাহিনী।
পরবর্তীতে প্রভাব দেখিয়ে ঝিড়িকা বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গুলশানারা পারভীনকে উল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেন এবং স্ত্রীকে নজরবন্দিতে রাখেন মেয়র ও তার বাহিনী। মেয়রের আরও একজন স্ত্রী রয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে, হানিমুন থেকে ঘুরে এসে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পৌর এলাকার সকল প্রোগ্রামসহ নানা অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় স্ত্রী পান্নাকে নিয়ে যাতায়াত শুরু করেন মেয়র নজরুল। তবে পৌর মেয়রের দ্বিতীয় স্ত্রীর হানিমুনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হবার পর সবাই মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, গুলশানারা পারভীন পান্না আমার স্ত্রী। তবে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।