সোমবার বিকেলে র্যাব-২ রাজধানীর বাসাবো থেকে তাকে আটক করে। র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. মহিউদ্দিন ফারুকী ডেইলি বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বাসাবোর নাভানা টাওয়ারের ওই অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়। বাসাবো ছাড়াও মতিঝিলেও তার আরেকটি অফিসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, গত ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়ার উদ্দেশ্যে জন্ম সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে দেয়া চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেরিয়ে আসে আতিকুরের নাম।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, সোমবার আতিকুরের ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৭০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করা হয। একই ব্যাংকে তার নামে ৫০ লাখ টাকার এফডিআরেরও সন্ধান মিলেছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরে ৬০ হাজার ডলার পাচার করা হয়েছে বাসাবোর অফিস থেকে।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার একটি ব্যাংকে ৪ লাখ ২৭ হাজার ডলার ও সিঙ্গাপুরের আরেকটি ব্যাংকে তার নামে ৬০ হাজার ডলারের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের একটি ব্যাংকে তার নামে রয়েছে আরো ৭০ লাখ টাকা।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরির যে কয়টি চক্র আছে আতিকুর রহমান তাদের অন্যতম বলে ধারণা করছে র্যাব।