উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে প্রশাসন ও বনবিভাগ ম্যানেজ করেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে গভীর বনাঞ্চল ও লোকালয়ে প্রতিষ্টিত ১২ টি ইটভাটা। ইতিমধ্যে ইটভাটা মালিকরা প্রশাসন থেকে শুরু বনবিভাগ ও দালাল ফাঁড়িয়াদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ ইটভাটা গুলোতে ইট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জোরেশোরে। এক্ষেত্রে কয়েকটি অবৈধ ইটভাটার মালিকরা ব্যবহার করছে মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের নাম। তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ইটভাটাগুলো বৈধ করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রশাসন ও বনবিভাগ ম্যানেজ থাকায় কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছেনা তাদের।
ঘুমধুমের বনাঞ্চলে অবৈধভাবে প্রতিষ্টিত ইটভাটা–ছবি-উখিয়া সংবাদ
সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে,উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ও পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের অবৈধ ১২ টি ইটভাটায় চলছে ইট তৈরির জোর প্রস্তুতি। গভীর বনাঞ্চল ও লোকালয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে প্রতিষ্টিত এসব ইটভাটা স্থাপন করা হলেও কারো হাতে কোন কাগজ পত্র নেই।
শুধুমাত্র ঘুষ নির্ভর এসব ইটভাটার আশেপাশের গ্রামবাসীর অভিযোগ, পাহাড়ের মাটি কেটে সবুজ বনাঞ্চল ধ্বংস করে জ্বালানি মজুত করে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার কারনে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে,শিশুসহ বৃদ্ধ লোকদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কিন্ত স্থানীয় প্রশাসন ও বনবিভাগ ম্যানেজ থাকায় ইটভাটার মালিকরা কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করছেনা। তাদের ভাব দেখে মনে হয়” রাজাহীন রাজ্যে তারাই শুধু রাজা”।
দেখা গেছে,প্রতিটি ইটভাটায় পুরোদমে কাজ চলছে,কারো দম ফেলাবার ফুসরৎ নেই। কাজ করতে দেখা গেছে শিশু শ্রমিক ও রোহিঙ্গাদের।
কয়েকজন শ্রমিকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে,কয়েকদিন পরই নতুন ইট বিক্রি করা যাবে। তারা জানান,প্রশাসনের লোকজন ও বনবিভাগের লোকেরা এসে মালিকের কাজ থেকে টাকা নিয়ে যায়, তাই কোন সমস্যা নেই। সবদিক ম্যানেজ করেই এখানে কাজ করতে হয়,না হয় অনেক ঝামেলা।
প্রকাশ্যে এসব অবৈধ ইটভাটা কি প্রশাসন ও বনবিভাগ জায়েজ করে দিল,এ প্রশ্ন স্থানীয় জনগনের।