টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা গ্রামেন পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার হওয়া এনজিও কর্মী রণজিৎ রায় (৩৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ঋণ গ্রহীতা মো. সানোয়ার হোসেন (৩০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ঘটনায় সানোয়ারের ভাই আনোয়ারকে আটক করা হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর নিহত রণজিৎ রায়ের জুতা, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ নগদ ১৩ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন সানোয়ারের স্ত্রী ও মা।
আদালতে জবানবন্দিতে সানোয়ার জানায়, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ১২টার দিকে এনজিও কর্মী রণজিৎ রায় কিস্তির টাকা আদায় করতে তাদের বাড়িতে যায়। এক পর্যায়ে সানোয়ার রণজিৎকে একটি বইয়ের কিস্তির টাকা দেওয়ার পর আরেকটি বইয়ের কিস্তির টাকা ঘাটতি থাকায় তা সংগ্রহের জন্য তাকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে চলে যায়। কিন্তু পরে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের ভেতর স্ত্রীর সঙ্গে এনজিও কর্মী রণজিৎ রায়কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় সানোয়ার।
আপত্তিকর অবস্থায় দেখে মাথায় রক্ত উঠে যায় সানোয়ারের। দুপুর ১টার দিকে ঘরের মধ্যে গলায় রশি পেঁচিয়ে রণজিৎকে হত্যা করে। পরে গভীর রাতে লাশটি জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার দিশা এনজিও নামের একটি ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মী রণজিৎ রায় (৩৫) কিস্তির টাকায় আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন বুধবার সকালে উপজেলার দুল্যা গ্রামের জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচ থেকে রণজিৎ রায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে রবিবার (২৪ নভেম্বর) মির্জাপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে, রণজিৎ রায়কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে সানোয়ার। তবে সানোয়ারের সঙ্গে আর কেউ এই হত্যাকণ্ডে জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।