সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় গ্রেফতারকৃত ডাকাতকে নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে গেলে ডাকাতদলের অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও পুলিশের পাল্টা গুলিবর্ষণে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহত ডাকাতের নাম মো. লক্ষণদ্দর আলী(৩০)। সে ছাতক উপজেলার সিংচাপুর ইউনিয়নের জিয়াপুর হবিবপুর গ্রামের মো. কলমদ্দর আলীর ছেলে। সে ১২টি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) গভীর রাতে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যরা সিংচাপুর এলাকায় তার অবস্থান সনাক্ত করে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার গ্রুপের সদস্যদের নিকট বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে স্বীকার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫ নভেম্বর) ভোররাতে ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতারকৃত ডাকাত লক্ষণদ্দরকে সাথে নিয়ে বোকারভাঙ্গা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগী ১০/১২জন ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় গ্রেফতারকৃত ডাকাত লক্ষণদ্দর পালিয়ে গেলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় পুলিশ ২০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করলে ও ডাকাতদল ৪০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
গুলি বিনিময় চলাকালীন সময় ডাকাতদের গুলিতে ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে ডাকাতদল পালিয়ে গেলেও ৩ শত ফিট দূরে ডাকাত লক্ষণদ্দরের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। পরে নিহত ডাকাতের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এখন লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল গুলি বিনিময় ও ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।