রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ হামলা চালায় জঙ্গিরা। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন সশস্ত্র জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি ২০ জন নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের মধ্যে দুইজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
পরে যৌথ বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিও নিহত হয়। এছাড়া ওই ঘটনায় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর একজন শেফ মারা যান। শুধু তাই নয়, ওই ভয়াবহ হামলায় গুরুতর আহত হন ৩০ থেকে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যরা।
নিহত ২০ জনের মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক, ৭ জন জাপানের নাগরিক, ২ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ২ জন বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা, ১ জন ভারতীয় নাগরিক ও ১ জন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক রয়েছেন।
এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর স্টাফ মারা যান।
নিহত ইতালির নয় নাগরিক হলেন- মারিয়া রিবোলি, ক্লদিও ক্যাপেলি, নাদিয়া বেনেভেট্ট, মার্কো টোনডাট, ক্লদিয়া মারিয়া ডি’অ্যান্টোনা, অ্যালেস্ট্রো, সিমোনা মন্টি, ভিনজেনজো ডি, ক্রিশ্চিয়ান রসি ও অ্যাডেলে পুগলিসি।
জাপানের সাত নাগরিক হলেন- মাকোটো ওকামুরা, হেরোশি তানাকা, হিডেকি হাশিমোটা, কোয়া ওগাসাওয়ারা, নোবুহিরো কোরুসাকি, রুই শিমোডাইরা ও ইয়োকি সাকাই।
ভারতীয় নাগরিক হলেন- তারিশি জৈন।
বাংলাদেশের নাগরিক হলেন- ইশরাত জাহান আখন্দ ও ফারাজ আইয়াজ হোসেন।
বাংলাদেশি দুই পুলিশ হলেন- সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল করিম ও পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন আহম্মেদ খান।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক হলেন- অবিন্তা কবির ভয়াবহ ওই হামলায় নিহত হন।
এ ঘটনার পর হলি আর্টিজানের দুই জন স্টাফ সাইফুল চৌকিদার ও জাকির হোসেন শাওন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।