বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের পুতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গতকাল শুক্রবার ভোরে গর্জনবনিয়া রেজুপাড়া সীমান্তের ওপারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোহাম্মদ হানিফ (৩০)। তার বাবার নাম আবদুল করিম। তিনি কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ব্লক-৪ এ থাকতেন।
আহতরা হলেন, একই ক্যাম্পের নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ জুয়েল হক (২৫), ও ২ নম্বর ক্যাম্পের ডিডি জোন ব্লকের আবদুর রহমানের ছেলে হাবিব উল্লাহ (২২)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন রোহিঙ্গা যুবক নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের গর্জনবনিয়া রেজুপাড়া ৩৯-৪০ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে মিয়ানমারে যাওয়ার পথে স্থলমাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হামিদ। আহত হন আরও দুজন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা রোহিঙ্গা যুবকরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যান এবং আহত দুইজনকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করান। তাদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প ওয়েষ্ট-১ এর প্রধান মাঝি মোহাম্মদ রফিক। এদিকে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এসব রোহিঙ্গা যুবক মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনার জন্য সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পরিদর্শক কানন চৌধুরী বলেন, ‘এই ধরনের একটি খবর শুনেছি, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ( বিজিবি) দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনার সাথে সাথেই হতাহতদের নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় অন্যান্যরা। তবে এই ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবির টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়ি সীমান্তের ৩৮-৩৯ নম্বর পিলার এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে মারা যান মো. শাহজাহান (৪৫) নামে এক রোহিঙ্গা। এই ঘটনার ২০দিন পর ২৩ সেপ্টেম্বর তুমব্রু থোয়াঙ্গাঝিরি এলাকায় একইভাবে মৃত্যু হয় আবদুল মজিদের।