বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সংসদ ও বিচার বিভাগ সরকারের দখলে। তাই ৫ ডিসেম্বর কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি না, তা একমাত্র সরকারই জানে।
রবিবার ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের’ ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আইনের প্রয়োগে নয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি হচ্ছে না রাজনৈতিক কারণে।
তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত শািন্তপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ দুঃখ পায় যখন দেখা যায় সাদেক হোসেন খোকার মতো মুক্তিযোদ্ধা দেশের মাটিতে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করতে পারেন না। আমরা দুঃখ পাই ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের মতো মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া দেখে। তাহলে এ দেশের মানুষ কি এই প্রশ্ন করতে পারে না যে, এই দেশ যদি মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ হয়ে থাকে, তাহলে তাদের ওপরে চরম নির্যাতন কেন?
ড. মঈন খান অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক মামলায় তাকে কারারুদ্ধ করে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ৩০০ সিটের মধ্যে ২৯২ সিট দখল করা যায়। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন না হলে বিএনপির কর্মসূচি কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচি স্পষ্ট। বিএনপি গণতান্ত্রিক শািন্তপূর্ণ রাজনীতি ও জনগণের কল্যাণে বিশ্বাসী। আমরা মানুষের কল্যাণে শািন্তপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করে যাব, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশনেত্রীর মুক্তি না হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক শামা ওবায়েদ, ওলামা দলের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, কৃষক দলের নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।