বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় তার জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। এদিকে এই শুনানিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপক্ষ ও বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল বাধান। এর কিছুক্ষণ পরই এজলাস ছেড়ে চলে যান বিচারপতিরা।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনসহ অন্যরা আজকের মধ্যেই শুনানি করার দাবি জানান। এর বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিছু পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন দিতে হবে বলে তাকে জানিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সময় দরকার।
তখন খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আগের একটি রিপোর্ট আছে। শুনানি হতে পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওই রিপোর্ট আমাদের দেওয়া হয়নি।
পরে রিপোর্টটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেখানো হয়। তখন তিনি বলেন, এটা গোপনীয়। এটা কীভাবে বাইরে আসে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, বোর্ড হয়েছে। খালেদা জিয়ার অবস্থা খারাপ। চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে নেওয়া দরকার।
এমন বাকবিতণ্ডা চলাকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, রিপোর্ট আসুক। বিষয়টি আগামী বৃহস্পতিবার থাকবে।
স্বাস্থ্যগত রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এদিন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে রিপোর্ট জমা দিতেও বলেছেন আপিল বিভাগ।
এরপর বিএনপির আইনজীবীরা চিৎকার শুরু করেন। এ সময় দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কয়েক মিনিট ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। এর কিছুক্ষণ পরই আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতিসহ ছয়জন বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এ সময় আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ‘শেইম শেইম’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।