সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নতুন বাজারস্থ এলাকায় বসবাসকারী ১১ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ১০ দিন আটক রেখে বখাটে যুবক সাইফুল ইসলাম ধর্ষণ করেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্বরপুর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মেরাজ আলীর ছেলে।
শুক্রবার ভোর বেলায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বখাটে সাইফুলকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে শুক্রবার দুপুরে আটককৃত সাইফুলকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ধর্ষিতার বাবা বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুন বাজারস্থ একটি সাটারিং দোকানের কর্মচারী। দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষিতা তার পিতা-মাতার সঙ্গে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুন বাজারস্থ একটি ভাড়ায় কলোনীতে বসবাস করে আসছেন। এতে বখাটে সাইফুল ওই কিশোরীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী বখাটে যুবক ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে কিশোরীকে ১০ দিন অমানুষিক নির্যাতন চালায়। কিশোরী তার নির্যাতনের কথা মোবাইল ফোনে বাবাকে অবহিত করে। কিন্তু টাকার অভাবে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পারেননি। কিশোরীর নির্যাতনের কথাও সহ্য করতে পারছেন না বাবা। অবশেষে তার দোকান মালিককে বিষয়টি তিনি অবহিত করেন। পরে দোকানের মালিকের পরামর্শে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরপরই বিশ্বনাথ থানার একদল পুলিশ সুনামগঞ্জ গিয়ে বখাটে যুবক সাইফুলকে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ধর্ষণ মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, আটককৃত আসামি সাইফুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।