উখিয়া উপজেলায় হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হওয়া নব্য কোটিপতি বাদশাকে নিয়ে অনুসন্ধানে হয়েছে। জানা গেছে তার হঠাৎ উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে একটি “পুটলা”। রহস্য ঘেরা সেই পুটলার কাহিনীই নাকি বাদশার উত্থানের সিঁড়ি।
জানা যায়,উখিয়া উপজেলার ঘিলাতলী গ্রামের বাদশা, গত ৩ বছর পূর্বে একটি পানের সাথে চনা পিয়াজুর দোকান ছিল তার সম্বল। এই চনা পিঁয়াজুর দোকান নিয়েই চলত তার সংসার। কিন্ত কয়েক বছরের ব্যবধানে তার উত্থান রুপকথার গল্পকেও হার মানিয়েছে । উখিয়া, কোটবাজার, রামু এলাকায় বেশ কয়েকটি টমটম “শো, রুমের পাশাপাশি উখিয়া ষ্টেশনের পাশেই কিনেছেন কয়েক কোটি টাকার জমি। সম্প্রতি উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় নির্মান করেছেন কোটি টাকা ব্যায়ে বিলাসবহুল বাড়ী। উখিয়া পুবালি ব্যাংক,ইউনিয়ন ব্যাংক,সোনালি ব্যাংকে তার স্ত্রী ও তার নামে রয়েছে বেশ কয়েকটি এফডিআর। নামে যেমন বাদশা, চাল চলনেও বাদশাহি আলামত।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাদশা ৩ বছর পূর্বেও উখিয়া দক্ষিণ ষ্টেশনে একটি পানের দোকান দিয়ে সংসার চালাতো। পরে এর সাথে চনা পিঁয়াজু বিক্রি করতো। কিন্ত হঠাৎ কি করে যে রাতারাতি এ অবস্থা হলো আমরা ভেবে হয়রান। তবে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পানের দোকান করার সময় একদিন রাতে টেকনাফ থেকে আসা একটি গাড়ী দূর্ঘটনায় বাদশার ভাগ্য বদলে দেয়।
জানা গেছে, তার সামনে দূর্ঘটনার শিকার হওয়া গাড়ীটি থেকে যে পুটলা গুলো পড়ে যায় তা নিয়েই সে আজ কোটিপতির কাতারে। পুটলা গুলো যেনতেন পুটলা নয়, পুটলা গুলোতে ছিল কয়েক লক্ষ ইয়াবা। ইয়াবা গুলো সে ধীরে ধীরে বিক্রি করে কালো টাকা সাদা করার জন্য আজকের এই শো-রুম সহ আলিশান কাজ কারবার।
বাদশার উত্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন করে উখিয়ায় কেউ শান্তিতে থাকতে পারবেনা, তদন্ত পূর্বক বাদশাসহ সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।