টেকনাফে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ও ক্রসফায়ারের পর উখিয়া ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বানিজ্য জমজমাট আকার ধারন করেছে। অাত্বসমর্পণ না করা টেকনাফের চিস্থিত ইয়াবা গডফাদাররা উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান নিয়ে উখিয়ার ইয়াবা ব্যবসায়ীদদের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা কারবার।
বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ও কুতুপালং এলাকায় বিশিষ্ট উপাধি পাওয়া ব্যাক্তিরা টেকনাফের ইয়াবা গডফাদারদের সাথে মিলেমিশে ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্রে প্রকাশ। এসব বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা ভদ্রতার আড়ালে বিশিষ্ট দানবির ও ওয়াজ মাহফিলের অতিথি এখন। এসব মাহফিলের আয়োজক ও তারা।
তাই প্রশাসন তাদের ভদ্র ব্যাক্তি হিসেবেই জানে। এরকম অনেকেই রয়েছে যারা শুধুমাত্র রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বানিজ্য করেই কোটিপতি। আবার কেউ কেউ টাকা দিয়ে দলীয় পদ কিনে বিশিষ্ট নেতা সেজে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পদ পদবি থাকার ফলে অনেকেই ইয়াবার সাথে জড়িত থেকেও পার পেয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি কোটবাজারে উখিয়া কমিনিউটি পুলিশিং এর সমাবেশে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ভদ্রবেশী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, অনেকেই ভদ্রতার লেবাসে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। এসব নেতা জনপ্রতিনিধিরা সাবধান। আপনাদের বিরুদ্ধে যদি এরকম অভিযোগ পাওয়া যায় তবে আপনারদের কোমরে রশি বেধে টেনে হিছড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে এসব নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে জানা গেছে। পালংখালী ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য ও রাজাপালং ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য নিজেরাই ইয়াবা কারবারে অভিযুক্ত। সরকার দলীয় বিভিন্ন পদ পদবি ব্যবহার করে এ কারবারে জড়িত এমনও রয়েছে কয়েকজন। যার ব্যবহার পালংখালী ইউনিয়নে একটু বেশী। এদের অনেকে আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিশিষ্ট ঠিকাদার।
জানা গেছে,এসব ইয়াবা কারবারিরা কালো টাকা সাদা করার জন্য কম দামে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাজ হাতিয়ে নিচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লছ দিয়ে ক্যাম্পে কাজ করে কালো টাকা সাদা করে নিচ্ছে। এদের কারনে প্রকৃত ঠিকাদাররা কোনঠাসা অবস্থায় দিনানিপাত করছে। ভদ্রতার আড়ালে ইয়াবা বানিজ্য চালু থাকায় কিছুতেই ইয়াবা পাচার থামানো যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন,আমি উখিয়া থানায় যোগদান করার পর ইয়াবা নির্মূলে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমি উখিয়ার আনাচে কানাচে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও বেশ কয়েকজন চিস্থিত ইয়াবা গডফাদারকে আটক করছি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় কারা রোহিঙ্গাদের এ কাজে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তা দেখা হচ্ছে। হয়তো ভদ্রবেশী অনেকেই জড়িত থাকা অসম্ভব কিছু নয়। আমরা সজাগ রয়েছি। ইয়াবার বিরুদ্ধে আপোশ নয়,সে যতবড় প্রভাবশালী হউক না কেন।