জিততে হলে করতে হবে ২২২ রান। ২০ ওভারে এই রান তাড়া যে কোনো বিচারে বিশাল টার্গেট। তবে ঢাকা প্লাটুন ঠিকই ছুটল পাহাড়সম সেই টার্গেটের পেছনে। তিসারা পেরেইরা ও মাশরাফি বিন মর্তুজা ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখালেন। দুজনেই ছক্কার ঝড় তুললেন। কিন্তু লক্ষ্যের কাছাকাছি যেতে পারলেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ২২১ রান টপকাতে পারল না ঢাকা প্লাটুন। থেমে গেল তাদের ইনিংস ২০৫ রানে। চট্টগ্রাম ম্যাচ জিতল ১৬ রানে। চট্টগ্রামের ২২১ রানের জবাবে ঢাকার ২০৫ রান। ম্যাচে মোট রান হলো ৪২৬ রান। বিপিএলের ইতিহাসে কোনো ম্যাচে দু’দলের মিলিয়ে এটাই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
শেষ ৩৬ বলে ম্যাচ জিততে ঢাকার প্রয়োজন দাঁড়ায় ৮২ রান। এমন সময় উইকেটে মাশরাফি বিন মর্তুজা। উইকেটে এসেই ঢাকার অধিনায়ক ব্যাট হাতে যা করলেন তাতেই নার্ভাস পুরো চট্টগ্রাম! নাসিরের ওভারের প্রথম তিন বলে ছক্কা হাঁকালেন মাশরাফি। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি। পঞ্চম বলেও ছক্কার জন্য বল ভাসালেন মাশরাফি। কিন্তু বাউন্ডারির দড়ির কাছে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইমরুল কায়েস ক্যাচটা নিলেন। ৬ বলে ২৩ রান করা মাশরাফি ফিরলেন। তখনো তিসারা পেরেইরা উইকেটে। এবং ম্যাচে টিকে ছিল ঢাকা বেশ ভালোভাবেই।
একপ্রান্ত থেকে পেরেইরা ঠিকই ছক্কার পর ছক্কা হাঁকান। ১৮ বলে ৪২ রানের প্রয়োজন একসময় কমে দাঁড়ায় ১২ বলে ৩৪ রানে। ১৯ নম্বর ওভারে পেরেইরা আরো দুই ছক্কা হাঁকিয়ে টার্গেট কমিয়ে আনেন। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ঢাকার চাই ২১ রান।
তিসারা পেরেইরা স্ট্রাইক নেন। ম্যাচের শেষ ওভারটা করতে এলেন মেহেদি হাসান রানা। প্রথম বলে ঝুঁকি নিয়ে দুই রান নিলেন। পরের দুই বলে বাউন্ডারি বা ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করলেন। পারলেন না। সিঙ্গেল রান ছিল। কিন্তু নিলেন না। তৃতীয় বলে আবার দুই রান। শেষ দুই বলে টার্গেট দাঁড়াল ১৭ রান। চতুর্থ বলেও একরানের বেশি নেওয়ার সুযোগ ছিল না তার সামনে। তাই সেই রানও নিলেন না। শেষ বলে মেহেদি ঠিকই তুলে নিলেন তার শিকার তিসারা পেরেইরাকে। ২৭ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৪৭ রান করলেন এই শ্রীলঙ্কান।
দারুণ উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচের শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করলেন মেহেদি। সেই সঙ্গে শেষ বলে তুলে নিলেন পেরেইরার প্রাইজ উইকেট। ম্যাচে ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন মেহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২২১/৪ (২০ ওভারে, সিমন্স ৫৭, আবিস্কা ফার্নান্দো ২৭, ইমরুল ৪০, মাহমুদউল্লাহ ৫৯, ওয়ালটন ২৭*; হাসান মাহমুদ ২/৫৫)।
ঢাকা প্লাটুন : ২০৫/১০ (২০ ওভারে, মমিনুল ৫২, জাকের আলী ২৭, তিসারা পেরেইরা ৪৭, মাশরাফি ২৩; মেহেদি হাসান রানা ৩/২৩)।
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মেহেদি হাসান রানা।