আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন সম্মেলনে সংগঠন থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি। তাদের স্থলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসবেন বর্তমান কমিটির ক্লিন ইমেজের দুই তরুণ নেতা। তবে সভাপতি পদে অপেক্ষাকৃত এক সিনিয়র নেতাকেও দেখা যেতে পারে।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের এমনটিই আভাস দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১১ জুলাই সংগঠনটির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মোল্লা কাওছার সভাপতি এবং পংকজ দেবনাথ সাধারণ সম্পাদক হন। সম্প্রতি রাজধানীর ক্যাসিনো কারবারে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনামে আসেন মোল্লা কাওছার। এ কারণে তাকে আর স্বেচ্ছাসেবক লীগে রাখা হবে নাÑ এমনটিই ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এবারও স্বেচ্ছাস্বেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী। তবে তিনি সেই ২০০৩ সাল থেকে সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকায় তাকেও এবার অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক সূত্র জানিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আনা হতে পারে বরিশাল-৪ আসনের এ সংসদ সদস্যকে। অবশ্য পংকজ দেবনাথের নির্বাচনী এলাকা মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ফল কিছুটা বিপাকে ফেলে দিয়েছে তাকে। গত সোমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী পেয়েছেন ১৭৫৭ ভোট, বিপরীতে স্থানীয় এমপি পংকজ দেবনাথের আর্শীবাদপুষ্ট স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোড়া মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৭৪৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিষয়টিও পংকজ দেবনাথের জন্য নেতিবাচক হতে পারে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, নেতৃত্বের দক্ষতা, রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা এবং সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা রয়েছেÑ এমন প্রার্থীরাই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে আসবেন বলে আমি ধারণা করি। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থেকে আজকের স্বেচ্ছাসেবক লীগকে একটি পরিপূর্ণ সংগঠন হিসেবে দাঁড় করানোর নেপথ্যে অন্যতম নায়ক সংগঠনটির সাবেক সভাপতি বাহাউদ্দীন নাছিম আরও বলেন, নেতা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বিতর্কিত কাউকে নেতৃত্বে আনা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।