রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ প্রদান করার অভিযোগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
মানিকগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদলতের বিচারক মমতাজ বেগম বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গেল বছরের ১৩ নভেম্বর রোহিঙ্গা নারী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেংরোয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে জান্নাত আক্তার, জন্মতারিখ ১০ জুন ২০০০ দেখিয়ে একটি নাগরিক সনদ, জন্মসনদ নিয়ে পাসপোর্ট ফরম দাখিল করতে গিয়ে আটক হন।
এ ঘটনায় তার ভুয়া স্বামী রেজাউল করিম ও পাসপোর্ট ফরমে স্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে সত্যায়ন করার অপরাধে মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী মো. মনোয়ার হোসাইনকে পুলিশ আটক করে।
ঘটনার দিন ১৩ নভেম্বর রাতেই মানিকগঞ্জ সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে জন্মসনদ প্রদান করায় দিঘুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, ভুয়া স্বামী রেজাউল করিম ও পাসপোর্ট ফরমে স্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে সত্যায়ন করার অপরাধে মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী মো. মনোয়ার হোসাইনসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়।
দিঘুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিনে আসেন। জামিন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বুধবার কোর্টে শুনানিতে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।