প্রশ্নফাঁস, মাদক, ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারসহ সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে আরো ২২ শিক্ষার্থীকে।
এ ছাড়া থিসিস জালিয়াতির ঘটনায় এক শিক্ষককে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ৬৩ শিক্ষার্থীকে আজীবন ও নয়জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র ও মাদকে সম্পৃক্ততার দায়ে চার শিক্ষার্থীকে আজীবন ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরো ১৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার হয়।
পাশাপাশি তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সাতদিনের মধ্যে তা জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ভর্তী পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় জড়িত ১৫ জনকে আগেই আজীবন বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাকিদের কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আরও ৬৩ জনকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।