ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। গতকাল বুধবার রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত রোববার রাজধানীর গোপীবাগে নির্বাচনী গণসংযোগের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পিস্তল দিয়ে গুলি করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় অস্ত্রটিও।
আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের খবরটি সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করা হবে বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের একটি দল বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওয়ারী থেকে আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। যে অস্ত্রটি দিয়ে তিনি গুলি করেছিলেন, সেটিও জব্দ করা হয়েছে। আরিফুলের এই অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি অস্ত্রটির লাইসেন্স করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানান।
ঘটনাটি তদন্তাধীন বিধায় ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন জানান, আরিফুল ইসলামের গ্রেপ্তারের খবরটি তিনিও শুনেছেন। তবে নিশ্চিত হতে পারেননি। দুপুরের পর থেকেই আরিফুলের ব্যবহৃত মুঠোফোনগুলো তিনি বন্ধ পাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাজধানীর টিকাটুলী মোড় থেকে ইশরাক হোসেন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের গলিতে ঢোকার সময় কলেজের মূল ফটকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থী রোকনউদ্দিন আহমেদের সমর্থকদের সঙ্গে ইশরাকের কর্মী-সমর্থকদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষই একে ওপরের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এর মধ্যে অন্তত ১০ রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা গেছে। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে শুরু হয়ে বেলা ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় মাকসুদ আহমেদ নামে একজন বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন। মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিরা বিএনপির নেতা-কর্মী। গত সোমবার সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপির পাঁচ কর্মীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।