হিব্রু ভাষায় পবিত্র কুরআন অনুবাদ করেছে সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠান। অনুবাদ বিষয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষ অনুমোদনও দিয়েছে। কিন্তু তাতে ভুল পাওয়া গেছে অন্তত ৩০০টি ।
মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান মিডেল ইস্ট মনিটর জানায়, ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদ সম্পর্কে ইসরায়েলের দাবি সঠিক প্রমাণ করতে ইচ্ছা করে অনুবাদে ভুলগুলো করা হয়েছে।
এসব ভুলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতরটি বের করেছে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ‘শেহাব’। তারা জানায়, হিব্রু ভাষায় অনূদিত কুরআনে উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এ দিকে ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে জানায়, পবিত্র কুরআন শরীফের হিব্রু সংস্করণ বের করার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেও তাতে ৩০০-এর বেশি জায়গায় ভুল রয়েছে। ভুল অনুবাদের পাশাপাশি ইচ্ছা করে কুরআন শরীফের অনেক অর্থ চেপে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই তথ্য জানায় মিডেল ইস্ট মনিটর।
হিব্রু ভাষার এই সংস্করণে কুরআনে বর্ণিত অনেক বিষয় গোপন করা হয়েছে। এমনকি আল-আকসা মসজিদকে ইহুদিদের প্রার্থনার স্থান (সিনাগগ) বলে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। যদিও আল-আকসা মসজিদ হচ্ছে মুসলমানদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের মদিনা শহরে অবস্থিত কিং ফাহাদ কমপ্লেক্স পবিত্র কুরআনের এ অনুবাদ প্রকাশ করেছে। কিং ফাহাদ কমপ্লেক্স প্রতি বছর অসংখ্য ভাষায় হাজার হাজার কুরআন প্রকাশ করে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি কোনো অনুবাদক ইচ্ছা করে মারাত্মক এসব ভুল করেছে। আর অনুবাদের পর সেটি পর্যবেক্ষণ না করেই প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।