কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। তৎ মধ্যে ১৩জন গুলিবিদ্ধ রয়েছে। তবে আহতদের সবাই শিবিরের সাধারন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ ৯জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। বাকী আহতদের ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নয়াপাড়া শিবিরের ই ও সি ব্লক এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা শুরু হয়। থেমে থেমে এই গোলাগুলির ঘটনা রাত ১১টা পর্যন্ত চলে।
শরণার্থী শিবিরের সাধারন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাতে জকির ও আমান উল্লাহর নেতৃত্বে একদল ডাকাত ই ব্লকের কাপড় ব্যবসায়ী নুর নবীর কাছে চাঁদা দাবী করতে এলে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় সাধারন রোহিঙ্গারা ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেলে। একপর্যায়ে জকির গ্রুপের প্রতিপক্ষ সালমান শাহ গ্রæপ ও খাইরুল গ্রুপ সাধারন রোহিঙ্গাদের সাথে যোগ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেকে জকির গ্রæপ এলোপাতারী গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় তারা ৪০-৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এতে প্রায় ১৩ জন গুলিবিদ্ধ সহ আহত হয় ২০জন।
আহতদের নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বাকী আহতদের ক্যাম্পের গনস্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে র্যাব-পুলিশসহ যৌথ টহলদল ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে জানা গেছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রোহিঙ্গা দু’গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা হচ্ছে ই- বøকের শওকত (১৯), মোঃ হাসান (২৮), জিয়াদুল (১২), সি বøকের বশির আহমেদ(৩২) মোঃ হোসেন(২৩), ফারুক(৮), জুবায়ের (১৮), বি বøকের আবুল হোসেন(২২) ক্যাম্প-২৬ এ-১ এর আব্দুল গনি(২৪) ।