বাংলাদেশের অনলাইন ক্যাসিনো রাজ্যের প্রধান হোতা সেলিম প্রধানকে আবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্যাসিনোর আড়ালে সেলিম প্রধান ছিলো মূলত তারেক জিয়ার অন্যতম প্রধান অর্থ দাতা। আইন প্রয়োগকারীর সূত্রে জানা গেছে যে, তারেকের প্রধান অর্থ দাতাদের মধ্যে দুই জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া আরো পাঁচ জন অর্থ দাতা রয়েছেন যারা আওয়ামীপন্থী প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। কিন্ত তারা গোপনে লন্ডকে তারেককে টাকা পাঠান। সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, সেলিম প্রধানের যে অনলাইন ক্যাসিনো তার একটি বড় অংশের টাকা প্রতিমাসে তারেকের কাছে যেতো। এই টাকা দিয়েই তারেক সরকার এবং রাষ্ট্রবিরোধী নানা রকম কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলো।
সূত্রগুলো বলছে সেলিম প্রধানের সঙ্গে তারেকের এই গোপন যোগাযোগ থাকলে আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সেলিম প্রধানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। যুবলীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যে সেলিম প্রধানের ব্যবসায়িক পার্টনার বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে বাগিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করানো ছিল সেলিম প্রধান এবং জিকে শামীমের প্রধান কাজ। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে যে, টেন্ডার মাফিয়া জিকে শামীমের সঙ্গে তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিলো। তারেক জিয়াকে প্রতি মাসে ১কোটি টাকা করে জিকে শামীম পাঠাতো। শুধু তারেক জিয়াই নয় বিএনপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে টাকা পাঠাতো জিকে শামীম।
এদেরকে আবার রিমান্ড এবং জিজ্ঞাসাবাদের মূল কারণ হচ্ছে আওয়ামী লীগপন্থী ব্যবসায়ী আর কারা কারা তারেককে অর্থ দিতো আর কাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো সেটি অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে আওয়ামী লীগ পন্থী কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী যারা প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখতো, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতো তারা গোপনে তারেক জিয়া বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতো। যদি কখনো ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয় সেই ক্ষমতায় পরিবর্তনে যেনো কোনো রকমের সমস্যা না হয়।
জানা গেছে যে, এ ধরণের আরো তিন জন ব্যবসায়ীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এবং এই তালিকার দুই জনকে খুব শ্রীঘই আইনের আওতায় আনার প্রকিয়া চলছে। এরা দুজনই আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, সরকার বিরোধী তৎপরতা হতো আওয়ামী লীগের ভিতর থেকেই। আওয়ামী লীগের নেতাদের অর্থ এবং নানা রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে তাদের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে রাখাই ছিল সেলিম প্রধান ও জিকে শামীমের প্রধান কাজ।