নামটা যখন মেসি এক মাস সময়টা তখন কম নয়। ‘দীর্ঘ’ এক মাস মেসি প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পারেননি। মেসি ফর্মে ছিলেন না এমন নয়। এই সময়ের মধ্যে তিনি গোলে সহায়তা করার হ্যাটট্রিক করেছেন। কিন্তু বার্সা ভক্তরা মেসির পা থেকে গোল দেখতে পাচ্ছিলেন না।
এইবারের বিপক্ষে শনিবার রাতের ম্যাচে মেসি হ্যাটট্রিক করে সেই গোল খরা কাটালেন। নিজে করলেন চার গোল। এইবারের বিপক্ষে দলকে এনে দিলেন ৫-০ গোলের জয়।
মেসি ম্যাচের ১৪ মিনিটে প্রথম গোল করেন। লিগে আগের ৩৯৮ মিনিট খেলেও গোল পাননি লিও। ম্যাচের শুরুতেই সেই খরা কাটান। এরপর দ্বিতীয় গোল করেন ম্যাচের ৩৭ মিনিটে। আর ৪০ মিনিটে পূর্ণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক। ২০১১ সালের পর ম্যাচের ৪০ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করেন এই তারকা। এর আগে মায়োরকার বিপক্ষে প্রথমার্ধে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার কীর্তি গড়েন তিনি।
এরপর মেসি ম্যাচের ৮৭ রানের মিনিটে আরও এক গোল করেন। দুই মিনিট পরে আর্থার গোল করে ক্যাম্প ন্যুতে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে ঘরের মাঠে এইবারের বিপক্ষে ছয় ম্যাচ খেলেই জয় তুলে নিল বার্সা। আর মেসি এইবারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়লেন।
সঙ্গে মেসি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফর্মে ফিরলেন। চলতি সপ্তাহে নাপোলির মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ খেলতে যাবে বার্সা। ইতালি জায়ান্ট নাপোলির মাঠ থেকে জিতে ফিরতে মেসির সেরাটা দরকার বার্সার। চ্যাম্পিয়নস লিগের পরই মেসিদের দিতে হবে রিয়াল মাদ্রিদ পরীক্ষা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এল ক্লাসিকোর দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে তারা। ওই ম্যাচেও জিদানের দলকে হারিয়ে ফিরতে এবং লিগ টেবিলে রাজত্ব ফিরে পেতে সেরাটা দিতে হবে লিওনেল মেসির।